কবরের ভিতরে ভাতিজিকে ধর্ষণ, চাচার যাবজ্জীবন
সাতক্ষীরায় ভাতিজিকে ধর্ষণের দায়ে চাচাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত। সোমবার সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ রায় দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবু সাজার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আজ রায়ের সময় আসামী জিয়াউর রহমান পলাতক ছিলেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৮ অক্টোবর দুপুর দেড়টার দিকে জিয়াউর রহমান তার ভাতিজিকে কৎবেল খাওয়ানোর নাম করে বাড়ির পাশের পারিবারিক কবর স্থানে নিয়ে যান। পরে একটি ভাঙা কবরের মধ্যে ফেলে তাকে ধর্ষণ করেন।
এ সময় কবরস্থানে থাকা একটি কুকুর চিৎকার করে ডাকতে থাকলে স্থানীয়রা সেখানে পৌঁছান। তবে তার আগেই জিয়াউর রহমান ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। ঘটনার দুই দিন পর ৩০ অক্টোবর মেয়েটির মা বাদি হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন।
এর পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই ) আসাদুজ্জামান বিষয়টি অধিকতর তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ২ মার্চ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
দীর্ঘ পর্যালোচনা শেষে এ মামলায় চারজন সাক্ষীর সাক্ষ্য পর্যালোচনা করে জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়। সূত্র
No comments